বাংলার সময়এবারও পদ্মাতে নাব্য সংকটের আশঙ্কা
সঞ্জয় কর্মকার অভিজিৎ
প্রতি বছরের মত এবারও পদ্মা নদীতে নাব্য সংকটের আশঙ্কা করছেন কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটের লঞ্চ ও ফেরির মাষ্টাররা। নাব্য সংকট দেখা দিলে ফেরি চলাচল সীমিত করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে দুর্ভোগ বাড়ে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রী ও চালকদের। যদিও জেলা প্রশাসন বলছে, নাব্য সংকট সমাধানে নদীতে ড্রেজিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
জোয়ার-ভাটাসহ নানা কারণে পলি জমে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটের পদ্মা নদীর লৌহজং পয়েন্টে। প্রতি বছর পলি অপসারণও করা হয়। কিন্তু সেই পলি নদীর মধ্যে কিংবা নদীর পাশেই ফেলা হয়। এতে আবারো ওই পলি নদীতে এসে সৃষ্টি হয় নাব্য সংকট।
তাই এবারও নাব্য সংকটের আশঙ্কা করছেন এই নৌরুটে চলাচলকারী লঞ্চ ও ফেরির মাষ্টারদের। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল ব্যহত হওয়ায় ঘাটের উভয় পাড়ে প্রতিদিনই বাড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে আটকা পড়ে সবচে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় এই নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহন চালকদের।
যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সার্বক্ষণিক রুটটি চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন মাদারীপুর সচেতন নাগরিক কমিটি (টিআইবি) সদস্য শাহাদাৎ হোসেন লিটন।
অবশ্য মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, নাব্য সংকট সমাধানে নদীতে ড্রেজিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিদিন কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ২ হাজার ছোটবড় যানবাহন পারাপারের পাশাপাশি ৩০ হাজার মানুষ লঞ্চ ও স্পীডবোটে যাতায়াত করেন।