বাংলার সময়অনিয়মে দুর্যোগ পিছু ছাড়ছে না হাওরবাসীর
ইকরামুল কবির

বছর আসে বছর যায়। কিন্তু সুনামগঞ্জের হাওরবাসীর আতঙ্ক কাটে না। তাদের বছরের একমাত্র ফসল বোরো মৌসুমের ধান নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় বারবার ছেদ পড়ে। প্রকৃতির দুর্যোগ কাটাতে সরকার বছরে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের কারণে দুর্যোগ পিছু ছাড়ছে না হাওরবাসীর।
২০১৭ সালে ভয়াবহ বন্যায় সুনামগঞ্জের হাওর রক্ষা বাঁধ বেশ কয়েকটি স্থানে ভেঙে যায়। ফলে সব ক'টি উপজেলার হাওরের এক লাখ ৬৮ হাজার হেক্টর জমির কাঁচাপাকা ধান একেবারে নষ্ট হয়ে যায়।
এ ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে। সরকার পাউবির হাত থেকে বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি বা পিইসির হাতে বাঁধ নির্মাণের দায়িত্ব দেয়।
কিন্তু তাতেও অনিয়ম ঠেকানো যাচ্ছেনা। গতবছর বন্যার কবল থেকে হাওরবাসী মুক্তি পেলেও এ বছর বর্ষা শুরুর আগেই পানির তোড়ে ভেঙে যায় তিন উপজেলার চারটি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ। এবার অভিযোগের আঙ্গুল পিইসির দিকে।
এলাকাবাসী জানান পানির তোড়ে ভেঙে যাচ্ছে বাঁধ। এর জন্য একমাত্র দায়ী চেয়ারম্যার-মেম্বার, আর পিইসি।
এবার সুনামগঞ্জে হাওরে এক লাখ ৭২ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়। পাউবি ও কৃষি বিভাগ হাওরের সব ধান কাটা হয়েছে বললেও বাঁধ ভাঙায় কৃষকেরা বলছেন ভিন্ন কথা।
তারা জানান ধান অর্ধেক কাটা হয়েছে অর্ধেক তলিয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ভূইয়া বলছেন, এসময় বাঁধ ভাঙায় হাওরের মৎসজীবীদের জন্য সুবিধা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'বেশি কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এখন যে অবস্থা তা প্রকৃতির একটা চলমান অবস্থা। এখনকার অবস্থায় মৎসজীবীরা সুবিধা পাবে।'
চলতি মৌসুমে ৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪'শ ৫০ কিলোমিটার বাঁধের সংস্কার করা হয়েছে।