বাংলার সময়পাটের সোনালী অতীত ফেরাতে নির্বিকার পাট অধিদপ্তর
সময় সংবাদ
পাটের সোনালী অতীত ফেরাতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আপ্রাণ চেষ্টা করলেও নির্বিকার রংপুর পাট অধিদপ্তর। পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়ানো ও বাজার সম্প্রসারণ তাদের কাজ নয় বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালকের। ফলে সম্ভাবনাময় পাট নির্ভর হস্তশিল্পের মুখ থুবড়ে পড়ার শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
বছর দুই আগেও কেবল ঘর-গৃহস্থালির কাজে সীমাবদ্ধ ছিলেন এই নারীরা। রংপুরের মাহিগঞ্জে বুনন ক্রাফট হাবে পাট দিয়ে বুনছেন ব্যাগ, ঝুড়ি, টেবিল ও ফ্লোর ম্যাট, দৃষ্টিনন্দন শোপিসসহ নান্দনিক সব পণ্য। যেখানে বাড়তি আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন তারা।
কর্মীরা বলেন, বেচাকেনা ভালো হয় মহিলা হয়েও কিছু রোজগার করতে পারছি। পরিবেশটাও সুন্দর মহিলাদের কাজ করতে সুবিধা হয়।
উদ্যোক্তারা বলছেন, প্লাষ্টিক ও পলিথিন বর্জনে সরকারের ঘোষণা থাকলেও পরিবেশ বান্ধব পাটজাত এসব পণ্য দেশ-বিদেশে বাজারজাতে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন।
রংপুর বুনন হাব ক্রাফটস’র সত্ত্বাধিকারী এ এইচ এম বাদল বলেন, ইউরোপের ৫২টি দেশ বলছে তারা প্লাস্টিক পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করে দেবে। আমরা সেই সব দেশগুলোতে পাটের পণ্য রপ্তানি করতে পারবো।
উন্নয়নকর্মীদের মতে, পাটের তৈরি সব পণ্য বাজারজাতের জন্য জনসচেতনতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে পাট অধিদপ্তরের ভূমিকা রাখার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির এই কর্তা শোনালেন হতাশার বাণী।
রংপুর পাট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, পাট পণ্য বাজারজাত করণের হিসেব নিকেশ আমাদের কোন কাজে লাগে না।
রংপুর অঞ্চলের প্রাকটিক্যাল অ্যাকশন মূল্যায়ন ও শিক্ষা পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা পারমিতা দত্ত বলেন, পাট পরিবেশ বান্ধব, দেশীয় পণ্য। আমরা পাট পণ্যের প্রচার প্রচারণা শুরু করলে আরো প্রসার হবে।
বেসরকারি সংগঠন প্রাকটিক্যাল অ্যাকশনের তথ্য মতে, রংপুর বিভাগের চার জেলায় পাট নির্ভর পনেরটি হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন প্রায় দেড় হাজার নারী।