ভ্রমণজাফলংয়ে পর্যটকের ভিড়
আবদুল আহাদ
পর্যটকের আগমনে মুখর এখন সিলেট। সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রমে দীর্ঘদিন পর আবারও প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। তবে বাড়তি গাড়িভাড়া কমানোর দাবি সংশ্লিষ্টদের।
প্রকৃতি কন্যা জাফলং। সংগ্রামটিলা থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত যেদিকে চোখ যায় শুধু পর্যটক আর পর্যটক। আর জিরো পয়েন্টে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। কেউ স্বচ্ছ পানিতে গা ভাসিয়ে শীতল হচ্ছেন, আবার কেউ ভেসে বেড়াচ্ছেন নৌকায়। দর্শনার্থীরা যাতে পানিতে ডুবে না যান সেজন্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি। আছে টুরিস্ট পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন।
জাফলং টুরিস্ট পুলিশ ইনচার্জ দেবাংশু কুমার দে বলেন, নদীতে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আছে। আর পুলিশের দুটি টিম আছে। ঈদে লক্ষাধিক পর্যটক আসবে। সবার নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।
পাহাড়, নদী, বালু-পাথর আর চা-বাগানের সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে পাহাড়ি ঝর্ণা। বর্ষায় ভারতীয় ঝর্ণাগুলো তার সব রূপসৌন্দর্য্য ছড়িয়ে দেয় পাদদেশ সিলেট অঞ্চলে।
প্রশাসন ও বিজিবি ব্যাপক উন্নয়ন করছে জাফলংয়ে। অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রেও উন্নয়নের নেয়া হয়েছে পরিকল্পনা। চলাচল উপযোগী সবগুলো সড়ক। ভোগান্তি কমে আসায় পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়ছে বলে মত প্রশাসনের।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার পাল বলেন, ট্যুরিজম বোর্ড থেকে আমাদের আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। যার বিনিময়ে এখানে সুন্দর একটি সিঁড়ি বানিয়েছি।
পর্যটকদের ভেজা কাপড় পরিবর্তনের জন্য জিরো পয়েন্টের কাছে ওয়াশরুম নির্মাণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় পানি সরবরাহ নেই।
জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটক মৃত্যুর ঘটনা নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ২৭ এপ্রিলেও এখানে এক পর্যটক মারা যান। দুর্ঘটনা এড়াতে সাঁতার না জানা মানুষদের নদীতে নামতে নিষেধ করেছে বিজিবি ও পুলিশ।