মহানগর সময়‘দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত ব্যক্তি বিচার চালাতে পারে না’
সময় সংবাদ

গ্রাম আদালতে বিচারকাজ পরিচালনায় আবেদনকারী বা প্রতিবাদী কারোরই প্রয়োজন পড়ে না আইনজীবী নিয়োগের। আবার যারা বিচারকাজ পরিচালনা করছেন প্রত্যকেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। যেসব কারণে গ্রাম আদালতে নিরপেক্ষ বিচারকাজ সম্ভব নয় বলে মত স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞদের।
বিচার ব্যবস্থায় দরিদ্র মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত ও সহজ করতে এক যুগেরও বেশী সময় ধরে কাজ করছে গ্রাম আদালত। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিবাদের প্রত্যেক পক্ষের দুই জনের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য এই মোট পাঁচ জন হবেন বিচারক। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত রাজনৈতিক নেতারা যখন বিচারক তখন সন্দেহ থাকে নিরপেক্ষতা নিয়ে।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত ব্যক্তি বিচার চালাতে পারে না। এটা বিচারে নীতির পরিপন্থী। দলের লোকের হাতে কোর্ট দেওয়া যায় না।
তবে স্থানীয় সরকার সচিব জানান, গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ এর মাধ্যমে বিচারকদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও তারা বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারবেন।
গ্রাম আদালতের প্রকল্প পরিচালক ড. আনোয়ারুল হক বলেন, রাজনীতিবিদ হলেই তিনি সিদ্ধান্তের পক্ষপাদিত্য করবেন এটি আমরা প্রত্যাশা করি না। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হচ্ছেন সেই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। যে সদস্যরা আছে তারা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত দেয়।
গ্রাম আদালত নয় বরং বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ করে তা উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারিত করার পরামর্শ স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞের।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, পৃথিবীর কোথাও স্থানী সরকার জুডিশিয়াল ফাংশন করে না। এবং প্রতিবেশী ভারতেও করে না। জুডিশিয়াল ফাংশনটা সরাসরি জুডিশিয়াল অথরিটি দিয়ে করানো উচিত।
ড. আনোয়ারুল হক বলেন, স্থানীয় বিরোধ নিষ্পত্তিতে আমার কাছে মনে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। দেশের প্রচলিত আইনের সাথে সাংঘর্ষিক নয়।
গ্রাম আদালত ও সালিশি আদালত অধ্যাদেশ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদকে দেয়া হয় বিচার সম্পাদনের দায়িত্ব।