বাণিজ্য সময়এবারো সিরাজগঞ্জে ষাঁড় মোটাতাজা চলছে পুরোদমে
রিংকু কুণ্ডু
পবিত্র ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে প্রতিবছরের মত এবারও খামারে বিপুল পরিমাণ ষাঁড় মোটাতাজা করা হচ্ছে সিরাজগঞ্জের বেশ কয়েকটি উপজেলায়। চলতি বছর কাঁচা ঘাস, খড়, বিভিন্ন প্রকারের ভুষি, ডালের গুঁড়া, ভাত, খৈল ও কিছু ভিটামিন খাইয়ে ষাঁড় মোটাতাজা করছেন গো-খামারিরা।জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস বলছে, খামারিদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
প্রতি বছরই ঈদ-উল-আজহা'কে সামনে রেখে জেলার সদর, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়াসহ বেশ কয়েকটি উপজেলাতে ব্যাপকভাবে ষাঁড় মোটাতাজাকরণ করা হয়। এ বছরও প্রাকৃতিক উপায়ে সবুজ ঘাস, খড়, বিভিন্ন প্রকারের ভুষি, ভাত, খৈল ও কিছু ভিটামিন খাইয়ে ষাঁড় মোটা তাজা করছেন প্রকৃত গো-খামারিরা। প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে সারাদিন বিভিন্নভাবে পরিচর্যা করে এক একটি গরুকে পরম যত্নে লালন পালন করছেন প্রান্তিক খামারিরা। পরিমিত খাবার গরুর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি পরিচর্যার মাধ্যমে প্রতিটি গরু স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে উঠছে।
এদিকে খামার সম্প্রসারণে সরকারি সহায়তার দাবি জানান খামার মালিকরা। পাশাপাশি ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু না আসলে ভাল দামের আশা করছেন তারা।
তালুকদার ডেইরি র্ফামের পরিচালক রেজা তালুকদার বলেন, 'খামার করতে গেলে প্রচুর বিদ্যুৎ বিল আসে, কৃষির মত যদি খামারেও বিদ্যুৎ বিলে ভর্তুকি দেয়া হত তাহলে উপকার হত।'
ষাঁড় মোটাতাজা করতে খামারিদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি ক্ষতিকর ওষুধের ব্যবহার বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রাণি সম্পদ বিভাগের এই কর্মকর্তা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: আখতারুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, 'বিভিন্ন স্টেরয়েড যেন ব্যবহার না হয়, ভেজাল খাদ্য যাতে ব্যবহার না হয় তার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।'
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মতে, ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে এবছর সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রায় ২ লাখ গবাদি পশু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। যার মধ্যে ষাঁড় রয়েছে প্রায় ৯০ হাজার।