অন্যান্য সময়নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিলো একটি রেস্টুরেন্ট
সময় সংবাদ

নির্ভেজাল ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকার রামপুরায় অবস্থিত আল-কাদেরিয়া রেস্টুরেন্ট। ঝকঝকে পরিচ্ছন্ন কিচেন এবং ভেজালমুক্ত খাবার পরিবেশন করে ইতিমধ্যেই রেস্টুরেন্টটি বেশ সুনাম অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর থেকে রেস্টুরেন্টটি সর্বোচ্চ গ্রেড A+ পেয়েছে। ইতিমধ্যেই তারা খাবারে কোনও প্রকার টেস্টিং সল্ট, রঙ ও কেওরা জল ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। সেইসাথে তাদের সারাদিনের ব্যবহৃত তেল প্রতিদিন রাতে কেরোসিন ঢেলে নষ্ট করে দেওয়া হয় বলে জানান রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ।
রেস্টুরেন্ট-এর ক্যাশ কাউন্টারের সামনেই রয়েছে একটি মনিটর, যাতে যে কেউই সরাসরি রেস্টুরেন্টের রান্নাঘরটি দেখতে পারবেন। ফলে রান্নাঘরের পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে ক্রেতা সচক্ষে দেখে ধারণা নিতে পারেন। শুধুমাত্র রেস্টুরেন্টের পরিচ্ছন্নতা নয়, স্টাফদের নিয়মিত হাতের নখ কাটা, চুল কাটা এবং সেভ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কোম্পানির পক্ষ থেকে বছরের সেরা কর্মচারীকে সম্পূর্ণ বিনা খরচে ওমরাহ্ পালনের ব্যবস্থা করে দেয় রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ।
কোম্পানির মালিক আলহাজ ফিরোজ আলম সুমন বলেন, আমি যদি আমার সন্তানের মুখে কোনও ভেজাল খাবার না দেই, তাহলে আমি কেনো আমার কাস্টমারদের ভেজাল খাবার দেবো? বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে। কিন্তু আমরা ব্যবসায়ীরা যদি সরকারকে সহযোগিতা না করি, তাহলে কোনদিনই সরকারের একার পক্ষে সম্ভব হবে না। তাই আমি বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে সকলকে অনুরোধ করবো, সরকারের পাশাপাশি আমাদের ও এগিয়ে আসতে হবে নিরাপদ খাদ্য দেশে প্রতিষ্ঠিত করতে।
কোম্পানির মালিক আলহাজ ফিরোজ আলম সুমন বলেন, আমি যদি আমার সন্তানের মুখে কোনও ভেজাল খাবার না দেই, তাহলে আমি কেনো আমার কাস্টমারদের ভেজাল খাবার দেবো? বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে। কিন্তু আমরা ব্যবসায়ীরা যদি সরকারকে সহযোগিতা না করি, তাহলে কোনদিনই সরকারের একার পক্ষে সম্ভব হবে না। তাই আমি বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে সকলকে অনুরোধ করবো, সরকারের পাশাপাশি আমাদের ও এগিয়ে আসতে হবে নিরাপদ খাদ্য দেশে প্রতিষ্ঠিত করতে।
আল-কাদেরিয়ার বর্তমানে ঢাকায় ৫টি আউট-লেট রয়েছে, রামপুরায় দুইটা, বনশ্রীতে একটা, খিলগাঁও কেএফসি বিল্ডিং-এ একটা এবং যমুনা ফিউচার পার্কের পিছনে একটা।