খেলার সময়ইউরো বাছাইপর্বে আবারও স্পেন-ইতালির জয়
সময় সংবাদ

ইউরো বাছাইপর্বে শতভাগ জয়ের রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রেখেছে সাবেক দুই চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও ইতালি। 'এফ' গ্রুপের খেলায় রদ্রিগো ও পাকো আলকাসেরের জোড়া গোলে ফ্যারো আইল্যান্ডকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে স্পেন। অন্যদিকে 'জে' গ্রুপে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে ইতালি। ৬ ম্যাচ শেষে দু'দলেরই সংগ্রহ ১৮ পয়েন্ট। মূল পর্বের কাছাকাছি এখন এই দুই দল।
বাছাইপর্বে অপ্রতিরোধ্য স্পেন। বিশ্বকাপের পর কম চড়াই উতরাই পার হয়নি দুই বারের চ্যাম্পিয়নরা। লুই এনরিকে দায়িত্ব ছাড়ার পর, কোচ হিসেবে রবার্ট মরেনোর প্রথম পরীক্ষা।
প্রতিপক্ষ ফ্যারো আইল্যান্ড হওয়ায়, স্পেন যে জয় পাবে সেটা অনেকটা নিশ্চিতই ছিল। তবে ব্যবধান কি হয় তাই দেখার ছিল। স্পেন একাদশে নিয়মিত অনেকেই ছিলেন না ইনজুরির কারণে। তারপরও ফ্যারো আইল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে খুব একটা বিপাকে পড়তে হয়নি স্পেনকে।
১৩ মিনিটের মধ্যেই গোল পায় লা রোজারা। গোল করেন রদ্রিগো। বল দখলে এগিয়ে থাকলেও, প্রথমার্ধে গোলের তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারছিলো না রবার্ট মরেনোর দল। প্রথমার্ধ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ করে স্বাগতিকরা।
বিরতি থেকে ফিরেই দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রদ্রিগো। দুই গোলে পিছিয়ে থাকা ফ্যারো আইল্যান্ড ম্যাচে ফিরতে চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। বরং বদলি হিসেবে নামা পাকো আলকাসের ম্যাচের শেষ দিকে স্পেনের হয়ে আরও দুই গোল করেন। ফলে ৪-০ ব্যবধানের জয় পায় লা রোজারা। একই সঙ্গে স্পেনের জার্সিতে অধিনায়ক সার্জিও রামোসের রেকর্ড ১৬৭তম ম্যাচটাও হয়ে থাকে স্মরণীয়।
স্পেনের মত ইতালিও বাছাইপর্বে ছুটছে এক্সপ্রেস গতিতে। এবার রবার্তো মানচিনির দলের প্রতিপক্ষ ফিনল্যান্ড। দু'দলের র্যাঙ্কিংয়ে পার্থক্য ৪০-এর বেশী হলেও, শুরুতে ইতালিকে বেশ কোনঠাসা করে রাখে ফিনিশরা। নিজেরা আক্রমণ করতে পারেনি। প্রথমার্ধে ইতালিকেও পড়তে হয় শক্ত প্রতিরোধের মুখে/ফলে গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয় ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিট।
বিরতি থেকে ফিরে ৫৯ মিনিটে সিরো ইম্মোবিল গোল করে এগিয়ে দেন আজ্জুরিদের।
৭২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ফিনিশদের হয়ে সমতা আনেন পুক্কি।
আবারো এগিয়ে যেতে বেশী সময় নেয়নি ইতালি। ৭৯ মিনিটে জর্জিনহো পেনাল্টি থেকে দলের দ্বিতীয় গোল করেন। ২-১ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয় ইতালির।