বাংলার সময়নিম্নমানের কাজে বাধা, প্রকৌশলীকে ধাওয়া!
সময় সংবাদ

নিম্নমানের কাজে বাধা দেয়ায় নাটোরে লিটন আহমেদ খান নামে সওজের এক সহকারী প্রকৌশলীকে ধাওয়া দিয়েছে ঠিকাদারের লোকজন। এ সময় ঠিকাদার আশফাকুল ইসলাম, ওই প্রকৌশলীকে কাজের জায়গায় আসলে তাকে মেরে হাত পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে সওজের সহকারী প্রকৌশলী লিটন আহমেদ খান নিরাপত্তা চেয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
বর্তমানে নিরাপত্তার অভাবে সহকারী প্রকৌশলী লিটন আহমেদ খান বুধবার ওই কাজে পরিদর্শনে যাননি। সূত্র জানায়, বাঘার আড়ানী এবং বাগাতিপাড়া উপজেলায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগের জন্য রাস্তা নির্মাণ করছে নাটোর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ কোটি টাকা। আর ওই সড়কটি নির্মাণ কাজ করছেন নাটোরে ঠিকাদার আশফাকুল ইসলাম।
জিডি সূত্র জানায়, ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল সোয়া ৫টায় ওই সড়কে প্রাইম কোট দেয়া নিয়ে সহকারী প্রকৌশলী লিটন আহমেদ খানের সঙ্গে ঠিকাদার আশফাকুল ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ঠিকাদার আশফাকুল ইসলাম প্রকৌশলীকে হাত পা ভেঙে দেয়া এবং তার লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন। সহকারী প্রকৌশলীকে ঠিকাদারের লোকজন ধাওয়া দিলে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যান তিনি। পরে বিষয়টি সওজের ঊর্ধ্বতন এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
সহকারী প্রকৌশলী লিটন আহমেদ খান বলেন, আড়ানি-বাগাতিপাড়া সড়কের ঠিকাদার আশফাকুল ইসলাম ও তার লোকজন প্রাইম কোটের আগে কার্পোটিং করতে চায়। এ সময় মালামালের গুণগত পরীক্ষা করে তারপর কার্পোটিং করার কথা বলা হয়। কিন্তু সে কোন কথা না শুনেই আমাকে ধাওয়া দেয় এবং প্রাণে মেরে ফেলার জন্য হুমকি দেয়। বর্তমানে নিরাপত্তার অভাবে আমি কাজের সাইডে যেতে পারছি না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আফতাব হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী দেশের বাহিরে রয়েছেন। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফিরলে পরবর্তীতে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জানার পর পরই পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সকালে ওই প্রকৌশলী নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছেন। জিডির তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জানার পর পরই পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সকালে ওই প্রকৌশলী নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছেন। জিডির তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।