বাণিজ্য সময় মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৮০-৮৫ টাকার মধ্যে বিক্রির নির্দেশ
সময় সংবাদ

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পাইকারি পর্যায়ে মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে বিক্রির নির্দেশনা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যাতে খুচরা পর্যায়ে কোনভাবেই ১০০ টাকার বেশি না হয় পেঁয়াজের দাম। কয়েকদিনের মধ্যে কয়েকটি শিল্প গ্রুপের বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে দাম আরও কমে আসবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। সরকার নির্ধারিত মূল্যেই পেঁয়াজ বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রামে পেঁয়াজের বাজারের উত্তাপ যেন কোনভাবেই কমছে না। আর সেই কারণেই সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমার মধ্যে পেঁয়াজের দাম রাখতে খাতুনগঞ্জে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় চালিয়েছে অভিযান।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিবের নেতৃত্বে একটি দল বাজার পরিদর্শন করে। সেক্ষেত্রে পাইকারি পর্যায়ের মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে বিক্রির নির্দেশনা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যাতে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার বেশি না হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. সেলিম হোসেন বলেন, খারাপ মালগুলো ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে, এবং ভালো মালগুলো ৮০-৮৫ টাকার মধ্যে বিক্রি করছে। এই দাম যদি পাইকারি বাজারে রাখা যায়, তাহলে খুচরা পর্যায়েও পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার মধ্যে রাখা যাবে।
বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম আরো কমে আসবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীরা যদি তাদের মূল্যবোধ বজায় রাখে এবং তাদের কমিটমেন্ট ঠিক না রাখে। সরকার এখন হার্ড লাইনে যদি আইনের কোন ব্যত্যয় ঘটে তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আড়ৎদারদের দাবি, বাড়তি দামেই তাদের আমদানিকারকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করতে হয়। তবে, সরকার নির্ধারিত দামেই পেঁয়াজ বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিলেন ব্যবসায়ীরা।
সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, আমদানি কারকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটি দাম নির্ধারণ করা হবে। সেই সাথে যদি আমদানি কারক থেকে ৭৮-৮০ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে পারি, তাহলে ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে পারবো।
বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।