আন্তর্জাতিক সময়পর্তুগালগামী বাংলাদেশিদের দুর্ভোগ, ঢাকায় নেই দূতাবাস
সময় সংবাদ

পর্তুগালে ১৮ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসী বসবাস করছেন। যাদের অধিকাংশই ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী এবং উচ্চ শিক্ষার্থী। তবে ঢাকায় দেশটির কোনো দূতাবাস না থাকায় প্রয়োজনীয় কাজে নয়াদিল্লিতে গিয়ে প্রায়ই ভোগান্তির শিকার হন তারা। সহযোগিতা পেলে ঢাকায় কনস্যুলার সেবা চালুর কথা জানিয়েছে পর্তুগিজ সরকার।
পর্তুগালে ৫ লাখের বেশি অভিবাসীর বসবাস। ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অভিবাসন প্রক্রিয়া তুলনামূলক সহজ হওয়ায় গেলো কয়েক বছরে পর্তুগালে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা।
এরইমধ্যে ট্যুরিস্ট শপ বা রেস্তোরাঁ শিল্পসহ বেশ কিছু খাতে শক্ত অবস্থান তৈরি করছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। তবে বাংলাদেশে পর্তুগালের ভিসা আবেদনের কোন সুযোগ না থাকায় নয়াদিল্লিতে ভিসা আবেদন করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশিরা।
এক প্রবাসী ছাত্রী বলেন, আমি স্কলারশিপ নিয়ে আসছি। কিন্তু অনেকে স্কলারশিপ না নিয়ে আসে। দূতাবাস না থাকায় তাদের বড় সমস্যায় পড়তে হয়।
অপর এক প্রবাসী বলেন, আমি সম্প্রতি পরিবার এই দেশে এনেছি। কিন্তু সমস্যায় আছি। যদি দূতাবাস থাকতো তাহলে এ সমস্যা হতো না।
আরেক বাংলাদেশি প্রবাসী বলেন, ১৮ থেকে ২০ হাজার বাংলাদেশিকে ভারতের যেতে হয়। এটা খুবই দুর্ভোগের।
সম্প্রতি পোর্তোতে বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে নৈশভোজে অংশ নিয়ে বাংলাদেশে পর্তুগালের কনস্যুলার সেবা চালু করতে নিজের আগ্রহের কথা জানান ক্ষমতাসীন সোস্যালিস্ট পার্টির উপ-মহাসচিব জোসে লুইস কারনেইরো।
জোসে লুইস কারনেইরো বলেন, আমরা সাংস্কৃতিক বিনিময়ে বিশ্বাসী। পর্তুগালে বাংলাদেশিরা কর্মঠ ও দক্ষ শ্রমশক্তি হিসেবে এরই মধ্যে বেশ পরিচিত লাভ করেছে। বড় এ কমিউনিটির প্রয়োজন বিবেচনায় বাংলাদেশ কনস্যুলার সেবা চালু করতে আমাদেরও যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। এতে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি৷
৯০ দশক থেকে এক দুই করে পর্তুগালে আসতে থাকা বাংলাদেশিদের বর্তমান সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার। যাদের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার এরই মধ্যে গ্রহণ করেছেন পর্তুগীজ নাগরিকত্ব।
তাই বাংলাদেশে পর্তুগালের কনস্যুলার সেবা চালুর মাধ্যমে দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ার পাশাপাশি কমবে পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ও নতুন করে আসতে ইচ্ছুকদের ভোগান্তি। আর এতে এগিয়ে আসতে হবে বাংলাদেশ সরকারকেই।