মহানগর সময়‘লবণের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে’
সময় সংবাদ

পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও গুজব ছড়িয়ে লবণের বাজারকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল। চট্টগ্রামের মাঝিরঘাটে পাইকারি পর্যায়ে সকালে ৭৪ কেজির প্রতি বস্তা লবণ ৫৮০ টাকায় বিক্রি হলেও বিকেলে দাম বেড়ে ৬২০ টাকা হয়। লবণ মালিক সমিতির দাবি, লবণের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। অন্যদিকে লবণ চাষিরা বলছেন, এখনো তাদের জমিতে কম দামের কারণে লবণ পড়ে রয়েছে।
নগরীর মাঝিরঘাট এলাকার ৩০টি এবং পটিয়ার ইন্দ্রপোলের ৪০টির বেশি মিলে পুরোদমে চলছে লবণ উৎপাদন। এমনকি রিফাইন্ড লবণ বস্তা প্যাকেট-জাত হয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। সরবরাহ লাইনেও কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। এর মাঝে সোমবার রাত থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে লবণ সংকটের গুজব ছড়িয়ে বাজার অস্থির করার চেষ্টা করছে একটি মহল।
একজন বলেন, চট্টগ্রাম মিলগুলোতে প্রচুর লবণ আছে, এখন কোনোভাবে দাম বাড়বে না।
আরেকজন বলেন, এখন লবণের বাজারটা যে বাড়ছে বলে জণগণ মনে করছে। এটা একটা বিভ্রান্তি
চলতি বছর লবণের বাম্পার উৎপাদন হওয়ায় গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মিল মালিক সমিতির এ নেতা।
লবণ মিল মালিক সমিতি সভাপতি নুরুল কবীর বলেন, যে যে অঞ্চলে এই ধরণের ক্রাইসিস সৃষ্টি করতেছে। তাই পাইকারদের কাছে অনুরোধ করবো, যে প্যাকেটের গায়ে টেলিফোন নাম্বার আছে, প্রতিষ্ঠানের নাম লিখা আছে, আপনারা যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্য প্রচুর পরিমাণে লবণ নিতে পারবেন।
কক্সবাজারের লবণ চাষিরা জানান, এবার লবণের দাম কম থাকায় তাদের জমিতে এখনো অপরিশোধিত লবণ অবিক্রিত রয়েছে।
একজন বলেন, কক্সবাজারে যে সমস্ত উৎপাদন এলাকায় আছে, সেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে লবণ রয়েছে।
কক্সবাজারের বিসিকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে লবণের চাহিদা সর্বোচ্চ ২০ লাখ মেট্রিক টন। গত মৌসুমে কক্সবাজারে ৬০ হাজার ও চট্টগ্রামে ৪০ হাজার একর জমিতে লবণ চাষ করে উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন। মাঠ পর্যায়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন লবণ এখনো অবিক্রীত রয়েছে।