শিক্ষা সময়শিশু শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার নিয়ে সমালোচনার ঝড়
সময় সংবাদ
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বনের অভিযোগে কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, বহিষ্কার না করে অন্য কোনভাবে বিষয়টি সমাধান করা যেতো। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন কঠিন শাস্তি দীর্ঘমেয়াদে শিশুদের মননে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এদিকে, শিশু শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা কেনো অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত।
পাবলিক পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বন করলে বহিষ্কার করা যাবে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত বছর এমন নির্দেশনা জারি করে। সেই আলোকে চলমান প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং অসাধু উপায় অবলম্বনের অভিযোগ অর্ধশতাধিক শিশু শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। শিশু শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এমন শাস্তি কতটুকু প্রভাব পড়ে তার শিক্ষা জীবন এবং মানসিকতায়? এ আলোচনা এখন সর্বত্র।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিশুরা অপরাধী নয়, না বুঝে ভুল করেছে। এক্ষেত্রে এমন বড় শাস্তি তার ভবিষ্যতের শিক্ষাজীবন ও মানসিকতায় বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তৌহিদুল হক বলেন, শিক্ষকরা এবং শিক্ষা বোর্ড এমন কোনো শাস্তি প্রদান করবেন না। যে অপরাধ করেছে তার সে শাস্তি বহন করার ক্ষমতা নেই।
বিএসএমএমইউ চিকিৎসক সেলিনা ফাতেমা বিনতে শহীদ বলেন, শিশুদের শাস্তির বিষয়ে একটি পেনান্টি থাকা দরকার, তারা কোনটা করতে পারবে এবং কোনটা করতে পারবে না।
বিষয়টি নিয়ে শুনানি হয়েছে উচ্চ আদালতেও। শুনানি শেষে শিশু শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা কেনো অবৈধ নয় তা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন আদালত।
হাইকোর্ট আইনজীবী এ এম জামিউল হক বলেন, মহামান্য হাইকোর্ট বলেছেন , যে যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের কেনো পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না এই মর্মে একটি রুল জারি করেছেন।
শিশুরা কেনো পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বনের দিকে গেলো সে বিষয়েও শিক্ষক-অভিভাবকদের ভাববার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।