মহানগর সময়সিলেটে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব, দুশ্চিন্তায় শিক্ষার্থীরা
ইকরামুল কবির
সিলেটে একের পর এক নতুন কলেজ স্থাপিত হলেও গড়ে উঠছে না মানসম্পন্ন কলেজ। ফলে প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের পর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়েন দুশ্চিন্তায়। শিক্ষাবিদরা বলছেন, যোগ্য শিক্ষক সংকটের পাশাপাশি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কলেজ স্থাপনের কারণে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গড়ে উঠছে না।
এসএসসি পরীক্ষায় এবার সিলেট বোর্ডে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ২ হাজার ২৬৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগেরই দু’হাজার একশোর মতো। একাদশ বিজ্ঞান শ্রেণিতে সিলেট অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুরারী চাঁদ কলেজে আসন সংখ্যা তিনশ'। আর ছাত্রীদের পছন্দের কলেজ সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের আসন সাড়ে তিনশ'। এছাড়া সিলেট সরকারি কলেজ এবং ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজও শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে।
সিলেট অঞ্চলে উচ্চ শিক্ষা প্রসারে ১৮৯২ সালে প্রথম স্থাপিত হয় মুরারি চাঁদ কলেজ। এরপর ২০১৫ সাল পর্যন্ত ২৮৪টি কলেজ স্থাপিত হয়। কিন্তু নতুন নতুন কলেজ স্থাপিত হলেও মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি।
তবে সিলেট এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র চন্দের মতে বাণিজ্যিক লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে নতুন কলেজগুলো স্থাপিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মালিকরা ব্যবসার প্রতি বেশি নজর দিয়ে থাকে। আর সেখানে মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় না। যার ফলে ওই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মানসম্মত শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।’
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার জেলায় কলেজের সংখ্যা ২৮৪। এই কলেজগুলোর আসন সংখ্যা এক লাখ ২০ হাজার ১৬৫। কিন্তু শিক্ষার্থীদের পছন্দের মানসম্পন্ন তিনটি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে আসন সংখ্যা ৯২০টি।