স্বাস্থ্যক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় 'গ্রীন টি'
আশীষ প্রসূন

গ্রীন টি বা সবুজ চা। জাপানি ভাষায় এটাকে বলা হয় ‘ওচা’, মানুষের স্বাস্থ্যে জন্য খুবই উপকারি একটি চা পাতা। প্রায় ৪০০০ বছর আগে থেকেই চীনে মাথা ব্যথার ঔষধ হিসাবে এটার ব্যাবহার ছিল। এরপর সময়ের ব্যবধানে জাপান, কোরিয়াসহ পশ্চিমা দেশগুলোতেও এর ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়।
গবেষকরা গ্রীন টি’র মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন অনেক রোগের ঔষধ। ১৯৯৪ সালে জার্নাল অব দ্যা ন্যাশনাল ক্যান্সার ইস্টিউট থেকে প্রকাশিত জার্নাল এ বলা হয়, সবুজ চা পানে ৬০% ক্যান্সার ( ইসোফেজিয়াল ) দূর করা সম্ভব হয়েছে চীনাদের ক্ষেত্রে।
ইউনিভার্সিটি অব পারদিউই এর গবেষকরা আবিষ্কার করেন সবুজ চা ক্যান্সার কোষ প্রজনন প্রতিরোধ করে। আরো কিছু গবেষণায় জানা যায়, সবুজ চা শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল লেভেলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। সবুজ চা-এর প্রধান ভাল দিক হলো এর একটি শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট। যা কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই শরীরের ক্যান্সার কোষ প্রজনন ক্ষমতা একদম নষ্ট করে ফেলে।
সবুজ চায়ের উপকারিতা:
১. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
২. আলঝেইমার বা মেমরি লস এবং পারকিনসন্স এর ঝুঁকি কমায়।
৩. হার্ট অ্যাটাক এর ঝুঁকি কমায়।
৪. রক্তে এ কোলেস্টেরলের এর মাত্রা কমায়।
৫. উপকারি কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়।
৭. ইনফেকশন কার্যকর হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
৮. কিডনি রোগের জন্য উপকারি।
৯. ডায়াবেটিস এর জন্য উপকারি।
২. আলঝেইমার বা মেমরি লস এবং পারকিনসন্স এর ঝুঁকি কমায়।
৩. হার্ট অ্যাটাক এর ঝুঁকি কমায়।
৪. রক্তে এ কোলেস্টেরলের এর মাত্রা কমায়।
৫. উপকারি কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়।
৭. ইনফেকশন কার্যকর হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
৮. কিডনি রোগের জন্য উপকারি।
৯. ডায়াবেটিস এর জন্য উপকারি।
পাতাকে বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করে গ্রীন টি বা সবুজ চা উৎপাদন করা হয়। ঠিক ব্ল্যাক টি (আমরা যেটা খাই) এর মত। এটার সামান্য একটা দুর্বল দিক হলো, এটাতে সামান্য পরিমাণে একটু ক্যাফেইন থাকে যা ব্ল্যাক টি এর ক্যাফেইন এর মত শরীরের জন্য এত মারাত্মক বা ক্ষতিকর নয়। তবে এর রোগ প্রতিরোধের কার্যকারিতার দিকে তাকালে অনায়াসেই এই দুর্বলতা বাদ দেয়া যায়। বাংলাদেশের বড় যে কোন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরেই এর দেখা মিলবে।
কিডনি, ডায়াবেটিস ও মূত্রনালির ইনফেকশন এগুলোর জন্য দিনে ৩ লিটার পানি খেতে ডাক্তাররা পরামর্শ দেন। পরামর্শ হলো, ৩ লিটার পরিমাণ গরম পানিতে কিছু পরিমাণ সবুজ চা পাতা বা একটা সবুজ টি প্যাকেট ছড়িয়ে দিন। পানি ঠাণ্ডা হলে প্রতি ২ ঘণ্টায় ১ গ্লাস করে পানি পান করুন। এই ভাবে দিনে ১২ গ্লাস পানি শরীরের জন্য বেশ উপকারী বিশেষ করে কিডনি, ডায়াবেটিস ও মূত্রনালিতে ইনফেকশন আছে এমন রোগীদের জন্য দিনে দৈনিক চার গ্লাস বা এক লিটার সবুজ চা খাওয়া শরীরের জন্য ভাল।