খেলার সময়একটা সময় জিম্বাবুয়েকে হারানো বাংলাদেশের জন্য ছিলো স্বপ্ন: তাইবু
হুমায়ুন কবির রোজ

ক্রিকেট বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। আর টাইগার ক্রিকেটের ব্যাপক উন্নতিতে এটাই প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। 'সময় সংবাদে এমনটাই মন্তব্য করেছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে দলটির নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করা তাতেন্দা তাইবু।
এছাড়াও, বাংলাদেশের বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটের পাশাপাশি বিসিবি'র সাংগঠনিক দক্ষতারও প্রশংসা করেন, এক সময়ে জিম্বাবুয়ের আলোচিত এই ক্রিকেটার।
অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল, নিল জনসন কিংবা এন্ডি ফ্লাওয়ারদের শেষের প্রজন্মের ক্রিকেটার তাতেন্দা তাইবু। ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের। তাঁর আবির্ভাবের সময়ে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পড়তো না।
কিন্তু ১৭ বছর পর তাইবু যখন নির্বাচকের ভূমিকায় বাংলাদেশে। তখন তাইবু দেখছেন ভিন্ন বাংলাদেশকে। যে দেশের ক্রিকেট উঠে আসা দেশগুলোর জন্য আদর্শ হতে পারে তাইবুর কাছে।
'বাংলাদেশে ক্রিকেট এক নম্বর খেলা। দারুণ জনপ্রিয়। তাই অনেকে ক্রিকেট খেলার দিকে আগ্রহী। একটা সময় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় ছিলো স্বপ্নের ব্যাপার। এখন উল্টোটা। শুধু ঘরের মাঠেই না। দেশের বাইরেও বাংলাদেশ ভাল করছে। তোমাদের এমন উন্নতি, উঠে আসা দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় হতে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেট।'
জিম্বাবুয়ের জাতীয় দল ছাড়াও, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বেশ কয়েকবার খেলেছেন তাইবু। তাই বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে ভালই জানা তার। নিজ দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ক্রিকেট কাঠামোকে অনেক এগিয়ে রেখেছেন তাইবু। বিশেষ করে বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটকে।
তার ভাষায়, 'তোমাদের উন্নতির পেছনে আরেক ভিত্তি হলো তোমাদের দেশের বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট খুবই শক্ত। এছাড়াও এইচপি দল এবং একাডেমী দলের সব কার্যক্রম চলছে নিয়মিত। যে দেশের ক্রিকেট এমন সক্রিয় তারাই উন্নতি করবে এটাই স্বাভাবিক। সেই সাথে বিসিবিও সাংগঠনিকভাবে বেশ তৎপর।
তাইবু'র সবচেয়ে কাছের বন্ধু মাশরাফি। দেখা করছেন। সিরিজ শেষে বাসায় যাবেন কথা হয়েছে। সখ্যতা আছে হাবিবুল বাশারের সাথেও। তাই কিনা তাইবুর দৃষ্টিতে বাংলাদেশ দল 'টিম বাংলাদেশ' হবার অনেক পেছনের গল্প তুলে ধরলেন।
'যদি ২০০৫-০৬ সালের দিকে ফিরে তাকান তাহলে ঐ সময়ে দেখবেন হাবিবুল বাসার সুমন পুরো দলকে একাট্টা করার প্রাণপণ চেষ্টা করেছে। আমি বলবো সে সময় থেকেই ধীরে ধীরে আজকের বাংলাদেশ এই পর্যায়ে।'
১৫০টি ওয়ানডে ২৮টি টেস্ট ও ১৭টি টি-টোয়েন্টি খেলা তাইবু ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যাট প্যাড তুলে রাখেন।